শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে কলকাতার নায়ক বনি সেনগুপ্ত ও বাংলাদেশের নায়িকা মাহিয়া মাহি অভিনীত ছবি ‘মনে রেখো’। যার ট্যাগ লাইন ‘মাইন্ড ইট’। মাহি-বনি ছাড়াও অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, জয়ী, তুলিকা, বিশ্বজিৎ। গানের কোরিওগ্রাফি করেছেন বলিউডের আদিল শেখ। ছবিটি মুক্তির অনুমতি পেতে সেন্সরে জমা রয়েছে।
ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত এই ছবি প্রযোজনা করেছেন হিট সব ছবির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হার্টবিট প্রোডাকশন হাউজ। এর কর্ণধার ও প্রযোজক তাপসী ফারুক চ্যানেল আই অনলাইকে জানিয়েছেন কেন ‘মনে রেখো’ দেখবে দর্শক:
‘মনে রেখো’ শব্দটা খুব আবেগময় মনে হলেও এই নামকরণটা আসলে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশের ধরন। ভালোবেসে মনে না রাখলেও এক ধরনের চ্যালেঞ্জের শুরুতেই বলা হয় ‘মনে রেখো’। তাই সাব-টাইটেল হচ্ছে ‘মাইন্ড ইট’। এই ছবিটা পুরোটাই অ্যাকশন-রোমান্টিক। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ছবিটি নির্মাণ হয়।
তাই আমরা চেয়েছি এমন একটি ছবি নির্মাণ করতে যা এখনকার প্রজন্মের চিত্র ফুটে ওঠে। হার্টবিট সবসময় চেষ্টা করে দর্শকদের ভালো মানের ছবি উপহার দেয়ার। ছবি দেখে যেন দর্শক আনন্দ ও তৃপ্তি নিয়ে বাড়ি ফেরে। ‘মনে রেখো’ ছবি নির্মাণের সময় এটা মাথায় রাখা হয়েছে। আরও একটা বিষয় উল্লেখ করতে চাই, ‘মনে রেখো’-তে কোনো বলিউড, তামিল ছবির ছোঁয়া নেই।
বরং আমাদের আধুনিক সময়ের গল্প। বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীদের লাইফের উপর তৈরি করা একটি সিনেমাটিক গল্প। বিনোদনের জন্য যা দরকার সব আছে এই ছবিতে। কালার কারেকশন, শব্দ, ব্যাক-গ্রাউন্ড মিউজিক, ভিএফএক্স, অ্যাকশন, প্রেম, কমেডি, নাটকীয়তা সবকিছুই। দর্শক ছবি দেখে যেন বিরক্ত না হয় সেই চেষ্টা করেছি। গল্পের সঙ্গে মিল রেখে তিনটি চরিত্র তৈরি করা।
কয়েকমাস ধরে গল্প নিয়ে কাজ করা হয়েছে। তারপর এই ছবি নির্মাণ করা হয়েছে। ছবি নির্মাণে কোনো তাড়াহুড়ো করিনি। বাজেট নিয়ে কার্পণ্য করিনি। যদিও মুক্তির আগে প্রচারণায় কিছুটা কম সময় পেয়েছি। ‘মনে রেখো’ ঈদে মুক্তি দিচ্ছি কারণ ছবির বাজেট বেশি, আয়োজন অনেক বড়। ম্যাক্সিমাম দর্শক ‘মনে রেখো’ একবার দেখলে আবার দেখতে চাইবে।
‘মনে রেখো’ একেবারে এই সময়কার স্টাইলিশ গল্পের ছবি। শুটিং লোকেশন, কস্টিউম, গান, গল্প সবকিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া। হার্টবিট এর আগে অনেক ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছে। সাফল্যও পেয়েছে। কিন্তু এই প্রথম মনে রেখো’র মতো গল্প নিয়ে হার্টবিট প্রথম কাজ করলো। হার্টবিট ছবি বানায় ‘আউট অব প্যাশন’। তাই দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার আগে শতভাগ সিওর থাকি যেন ছবিটা যেন আমাদের মনের মতো হয়।
দর্শক টাকা দিয়ে ছবি দেখে যেন অখুশি না হয়। যারাই এখানে অভিনয় করেছে সবাইকে নতুনভাবে আনার চেষ্টা রয়েছে ‘মনে রেখো’তে। দর্শক যেন গতানুগতিক মনে না করে। ‘মনে রেখো’ যখন দর্শক হলে গিয়ে দেখবে, এসব কথা পরিপূর্ণতা মিল পাবে।
Leave a Reply